বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট ঃ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সাভারে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকালে সাভারে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ শেষে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বাধে। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে দলটির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা সকল থেকেই জড়ো হন সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায়। সেখানে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাকিজা পয়েন্টে উঠা মাত্রই পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের বাদানুবাদের এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জের জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হলে পুলিশ-ও দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে মডেল মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংঘর্ষের কারণে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজটের। প্রায় আধা ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এঘটনায় বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে সাভার মডেল থানার এস আই সৈকত বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল ছুড়ে মারলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাভার মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করা হবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু বলেন, সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা পয়েন্টে উঠা মাত্রই পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের বাদানুবাদের এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং কয়েক জনকে আটক করা হযেছে। তাদের মুক্তি চাই।