বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাত পোহালেই ঈদ।স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতেই হবে। তাই করোনা মহামারী আর সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে আজও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
বিজিবির চেকপোস্ট, পুলিশের কড়াকড়ির পরও বিভিন্নভাবে ঘাটে আসছে মানুষ। যাত্রীদের ঘাটে আসতে নিরুৎসাহিত করা হলেও কিছুই শুনছেন না তারা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে ঘাট এলাকায় নিয়মিত মাইকিং করা হলেও যাত্রীরা তা আমলে নিচ্ছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানা দূরে থাক অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্কও নেই।
এদিকে ফেরিতে উঠতে না পারলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন।
অন্যদিকে শিমুলিয়া ঘাটে গতকালের তুলনায় আজ সকালে ঈদে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬টি ফেরি চালু রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রী-যানবাহনকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উঠানো হচ্ছে। এতে পন্টুনে জটলা ও ভোগান্তি কমে এসেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়ার তিনটি ফেরিঘাটই সচল রয়েছে। নৌ রুটে বর্তমানে ডাম্প, রোরো ও মাঝারি আকৃতির ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল উদ্দিন জানান, ঘাট এলাকায় বর্তমানে দুই শতাধিক ব্যক্তিগত ছোটগাড়ি ও ১৫০টি ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী চলাচল ও ঘাট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।