শেখ ফয়েজ আহমেদ : বীরাঙ্গনাদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ ও অবদানের জন্য ‘রুবি গজনবী এওয়ার্ড ফর সোস্যাল জাস্টিস-২০২৩’ লাভ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীপক্ষ’।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ শনিবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ফরিদা পারভীনের পরিবেশনায় লালন সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সুচিত হয়। এরপর এ.এফ.মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সন প্রফেসর নায়লা কবীর ও প্রফেসর পারভীন হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। নারী পক্ষের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ফিরদৌস আজিম।
২০২৪ সালের রুবি গজনবী পুরস্কারের জন্য ‘মোনাঘর’কে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এ.এফ.মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রয়াত চেয়ারপার্সন রুবী গজনবীর জীবন ও কাজের জন্য ফাউন্ডেশন ২০২৩ সালে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। রুবী গজনবী তাঁর জীবনের বৃহৎ সময় নিয়োজিত ছিলেন দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অধিকার সংরক্ষন, বাংলাদেশের চারু শিল্পের ঐতিহ্য সংরুক্ষন ও এ শিল্পে নিয়োজিত শিল্পীদের জীবন উন্নয়নে। তিনি মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন। ১৯৭১ সালে নির্যাতিত নারী, বীরাঙ্গনাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ অবদান রাখেন। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য ব্যক্তি বা সংস্থার ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতি প্রদান।
রেজাউর রহমান এফসিএ, তাঁর পিতা আবুল ফয়েজ মুজিবুর রহমান আইসিএস-এর স্মৃতি রক্ষায় ১৯৮৫ সালে দাতব্য প্রতিষ্ঠান এ.এফ.মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সমাজ কল্যান মুলক কাজের পাশাপাশি এই ফাউন্ডেশন দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠান গণিতে ভাল ফলাফলের জন্য স্বর্ণ পদক প্রদান করে। গত ২০১৪ সালে ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৮ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মান করে দেয় যা ‘এ.এফ.মুজিবুর রহমান গণিত ভবন’ নামে পরিচিত। ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে স্নাতক পর্যায়ে বাংলাদেশ গণিত সোসাইটির “জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড’-এর সম্পুর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।
রুবী গজনবী অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতে প্রথম বাঙ্গালী মুসলিম আইসিএস আবুল ফয়েজ মুজিবুর রহমানের কন্যা।