বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফরিদপুরের আরামবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল সিজারের সময় এক নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। পরে অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেন।
এর আগে একই দিন সকালে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের আরিফুল ইসলাম সজল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি আরামবাগ হাসপাতালে তার স্ত্রী মুক্তার সিজার করা হয়। ডেলিভারির সময় তাঁর বাচ্চার একটি হাত ভেঙে যায়। এ সময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকের অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগও করেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, অনিয়মের অভিযোগ উঠা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই হাসপাতালের আয়া। ডাক্তার ছাড়াই প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলেন তিনি। পরে ওই নবজাতকের কপালের কেটে ফেলা অংশে ৯টি সেলাই দিতে হয়। রোগীর স্বজনরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে ওই আয়া, হাসপাতালের পরিচালক ও এক দালালকে আটক করে পুলিশ।