বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ। এ জন্য বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। আজ থেকে শুরু হয়ে ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে আগামী বুধবার (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত।
এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট এ তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থিত থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে সমন জারি করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
সাক্ষীরা হলেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মো: আবদুল হামিদ, মো: ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো: আমিন, মো: কামাল হোসেন ও মো: শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো: আয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রনধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যারব-১৫।
হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাকব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো: শাহজাহান, কনস্টেবল মো: রাজীব ও মো: আবদুল্লাহ পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো: নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।