বুধবার সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলাম। তিনি মসজিদের ছাদ থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন।
তৃতীয় দফায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর। মামলায় আরো ৭৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
আদালত থেকে বেরিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, বুধবার দ্বিতীয় দফার চতুর্থ দিনে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যদিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
তিনি জানান, বুধবার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহনের শেষ দিন। এ দিনে স্থানীয় মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলাম মসজিদের ছাদ থেকে ঘটনাস্থলের পুরো ঘটনা আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, বুধবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয় দুপুর ২টার দিকে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, মসজিদের ছাদ থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দূরত্ব অনেক। মাঝখানে অনেক গাছপালা আছে। এই দূরত্ব থেকে কোনো ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব নয়। মূলত অশুভ অপরাধীচক্রের প্ররোচনা কিছু স্বাক্ষী মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
বুধবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেনভ্যানে কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।