মোহাম্মদ এ হোসেইন : দুই যুগ ধরে সিরিয়ার সিংহাসনে গেড়ে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ। কিন্তু বিদ্রোহীদের অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে এই স্বৈরশাসকের। দীর্ঘ ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রোববার ভোরেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এদিন ভোরেই রাজধানী দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানযোগে পালিয়ে যান তিনি।
ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ ও সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে বহন করা বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সিরিয়ার একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের পর বিমানটি মাঝপথে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই খবরের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা চলছে। দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি যে বিমানে ছিলেন তা হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বা ভূপাতিত হয়েছে।
সিরিয়ার দুটি সূত্র জানিয়েছে, আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। কারণ বিমানের আকস্মিক ইউটার্ন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়নি ওই বিমানে কে ছিলেন।
এর আগে, রোববার ভোরে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়’আত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস দামেস্ক দখল করে নিলে এ ঘটনা ঘটে।
সমস্ত বিশ্ব জুড়ে মানবতাবাদী মানুষ এই জালিম সরকারের পতনে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছে।