বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণে আদালতের আর নিষেধাজ্ঞা নেই। হাইকোর্ট বলেছেন, যেহেতেু ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। আর সরকার লকডাউনও শিথিল করেছে। তাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ৬ জন আইনজীবী এবং স্থানীয় ৭ জন ভোটারের করা এক রিট আবেদন অকার্যকর ঘোষনা করে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
গত ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইসময় সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় ওই রিট আবেদন করা হয়। ওই রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ২৬ জুলাই এক আদেশে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভোটগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশেল পরপরই ওইদিনই ইসি ভোটগ্রহণ অনির্দিস্ট সময়ের জন্য স্থগিত করে আদেশ জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবীর পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে(সিইসি) ২৫ জুলাই আইন নোটিশ দেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ওই ৫ আইনজীবী হলেন-অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ওই ৫ আইনজীবী ও সিলেটের আরেক আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন এবং সংশ্লিস্ট নির্বাচনী এলাকার নাগরিক সালেহ আহমেদ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার শিপন আহমেদসহ সাতজন ভোটার ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে ২৬ জুলাই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন গত ১১ মার্চ। একারণে ইসি ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে
ওই আসন শূণ্য ঘোষনা করে। সংবিধানের ১২৩(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৮ জুনের মধ্যে ওই আসনের উপনির্বাচনে বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে দৈবদূর্বিপাক হিসেবে উল্লেখ করে সংবিধানের ক্ষমতাবলে আরো ৯০ দিন বাড়িয়ে নেয় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। এই তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ইসি ১৫ জুন পৃথক এক নোটিশে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছিল ২৮ জুলাই। কিন্তু এর আগেই হাইকোর্ট ভোটগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ দিলে ইসিও ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষনা করে।