বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের লড়াইয়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন হয়েও ভোটের ফলাফলে জামানত হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী। তার পথ অনুস্মরণ করে বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়াও জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ভোট প্রয়োগের এক অষ্টমাংশ না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩৫ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া পেয়েছেন মাত্র ৬৪০ ভোট। হিসেব অনুযায়ী, শফি আহমদ চৌধুরী কাস্ট ভোটের ৪.২৫ শতাংশ ও জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া মাত্র ০.৫৩ ভোট পেয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা) পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট। সে হিসেবে বেসরকারি ফলাফলে সিলেট-৩ আসনে ৬৫ হাজার ৩১২ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে শনিবার সকাল ৮টায় ১৪৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই দিনভর অনেকটা নীরবতার মধ্য দিয়েই শেষ হয় ভোটগ্রহণ।
চলতি বছরের ১১ মার্চ এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণা করা হলেও কয়েক দফায় পিছিয়ে চূড়ান্ত হয় ৪ সেপ্টেম্বর।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮ শত ৭৩ জন। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯১ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আতিকুর রহমান আতিক, দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করলেও স্বতন্ত্র থেকে মোটরকার প্রতীকে শফি আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়াসহ মোট চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।