বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কমী। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মীর মেলেনি খোঁজ।
খোঁজ না মেলা ফায়ার সার্ভিম কর্মীরা হলেন মো. রবিউল ইসলাম (ফায়ার ফাইটার), ফরিদুরজ্জামান (ফায়ার ফাইটার), শফিউল ইসলাম (ফায়ার ফাইটার), মো. ইমরান হোসেন মজুমদার (লিডার)।
সোমবার (৬ জুন) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শাহজাহান সর্দার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ফায়ার সার্ভিসের আরও চার কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। তবে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে সেটি এই চারজনের কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এসময়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার ফাইটাররাও হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও চারজন।
অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
সর্বশেষ তথ্যানুয়ায়ী, আগুন লাগার ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখনো বেশ কয়েকটি কনটেইনার জ্বলছে। ধোঁয়া বোরোচ্ছে বেশ কয়েকটি কনটেইনার থেকে।
সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক পদার্থ থাকা চারটি কনটেইনার চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপসারণের চেষ্টা চলছে বলে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল জানিয়েছেন।