বঙ্গনিউজবিডি, বেনাপোল প্রতিনিধি : সীমান্ত বন্ধ ঘ্ষোনার পরই করোনার মধ্যেই বিশেষ এনওসির মাধ্যমে সীমান্তে আটকে পড়া দু‘দেশের ২২৮জন যাত্রী স্ব দেশে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। ফলে মঙ্গল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫৮ যাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে নেওয়া হচ্ছে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেনটাইনে। নিজ অর্থায়নে থাকতে হবে তাদের। তবে ভারত ফেরা যাত্রীদের কোয়ারেনটাইন নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ-দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের সহযোগিতা চান তারা। যাত্রীদের ক্যানসার ষ্টোক-সহ বিভিন্ন জটিল কঠির রোগের চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরছেন তারা। রোগীদের খাওয়া থাকা চিকিৎসা ও পরিবেশ না পেলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। হোটেল থেকে কোয়ারেনটাইন হলেও অধিকাংশ অসুস্থ্য সহ মৃত্যুমুখে পড়ার শংকা রয়েছে। এজন্য সরকারের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান,ভারতে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার থেকে ১৪দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। ফলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সব ধরনের পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ওপারের পেট্টাপোল সীমান্তে আটকা পড়ে আড়াইশ যাত্রী। এপারের শতাধিক যাত্রী আটকা পড়ে। দিনভর দুর্ভোগে কাটান তারা। আটকে পড়া যাত্রীরা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ হাইকমিশনে করোনা সু রক্ষা মেনে দেশে প্রবেশের আবেদন করেন। এর ফলে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সু রক্ষা সেবা বিভাগ থেকে বেনাপোল দিয়ে ৫৮জন আখাউড়া দিয়ে ৬৩জন,ও বুড়িমারী দিয়ে ৭জন সহ১২৮জন ভারতীয় নাগরিককে ভারতে যাওয়ায় অনুমতি দেয়। অপরদিকে ভারতের পেট্টাপোল আটকাপড়া আড়াইশ যাত্রীর আবেদনের প্রেক্ষীতে ১০০জনকে বাংলাদেশে প্রবেশে এনওসি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এনওসি সিড লটকানো হয়েছে প্যাসেজ্ঞার টার্মিনাল প্রবেশমুখে।
উল্লেখ্য,ভারত থেকে ফেরা যাত্রীদের স্ব খরচে বেনাপোলে প্রাতষ্টানিক কোয়ারেনটাইনে রাখায় এনওসি পাওয়া অনেক যাত্রী ভারত থেকে আসতে দ্বিমত করছেন। অনেকে ফিরে যাচ্ছেন স্বজন ও বিভিন্ন স্পটে। জানান সীমান্ত সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব আরো জানান, দু‘দেশের এনওসি পাওয়া যাত্রীরা ইমগ্রেশন পারাপারের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে করোনা সু রক্ষা মেনেই আসছেন যাত্রীরা। নেগিটিভ যাত্রীদের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেনটাইনে ও করোনা পজেটিভ নাগরিকদের যশোর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বাতœক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।