বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আদালত অবমাননায় আজ (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় আপিল বিভাগে হাজির হন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল।
হাজির হয়ে শুরুতেই সময় চান তারা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাফ জানিয়ে দেন, আগে চিঠিটি পড়েন। এরপর বাকী কথা শুনবো।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, চিঠিতে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা কি ঠিক করেছেন? সারাদেশের কোর্টের আইনজীবীদের দায়িত্ব নিয়েছেন। কে দিয়েছে আপনাদের এ দায়িত্ব?
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে যে পক্ষপাতমূলক বলছেন সেটা কি ঠিক হয়েছে? এসময় আপিল বিভাগ বলেন, কোন মামলা আমরা শুনবো কোনটা শুনবো না তা আপনারাই ঠিক করবেন? জামিন পাওয়া আপনার অধিকার। না পেলে উপরের কোর্টে যাবেন, আন্দোলন করার সুযোগ কি আছে?
আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদলকে এ সময় প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, আপনি কবে এনরোল্ড হয়েছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে।
তবে তার আপিল বিভাগের লাইসেন্স নাই বলে জানান আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল। এ কথায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার আপিল বিভাগের লাইসেন্স না থাকার পরও আপনি চিঠি দিলেন প্রধান বিচারপতিকে।
তিনি আরও বলেন, Who are you…?
এ সময় প্রধান বিচারপতি আইনজীবী মহসিন রশীদের দেয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও জায়ান্ট স্ক্রিনে চালাতে বলেন। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনা করছিলেন মনসিন রশীদ। ভিডিওতে ‘সুপ্রিম কোর্ট আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে’- বলে বক্তব্য দেন তিনি।
পরে প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যদি দুই আইনজীবীর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হয়, তাহলে আরও বড় সাজা হতে পারে।
তবে তাদের চার সপ্তাহের সময় আবেদন মঞ্জুর করলেও এ চার সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টের কোনো বেঞ্চে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না এই দুই আইনজীবী।
আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে সময় আবেদন করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে এই দুই আইনজীবীকে তলব করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিতভাবে আজ এ আদেশ দেন।