বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: এখন ঋতুরাজ বসন্ত। প্রকৃতি রঙ-বেরঙে সেজেছে। চারদিকে সবুজের সমাহার। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লিচুর সোনালি মুকুল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা। বাগান চাষিরা গাছের পরিচার্যা করতে মেতে উঠেছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী মাসে লিচু উঠবে বাজারে। এরইমধ্যে ভালো ফল পাওয়ার আশায় বাগান চাষিরাসহ বসতবাড়িতে থাকা লিচু বাগানের গাছের পরিচর্যা শুরু হয়েছে। মুকুল আসা শুরু থেকেই গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পর ফুল ঝড়ে পরে তা থেকে লিচুর গুটি বের হবে। তখন কীটনাশকসহ বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় স্প্রে করবে কৃষকেরা।
সোনারগাঁওয়ে যেসব জায়গায় লিচু বাগান আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পানাম, গোয়ালদী, বৈদ্যেরবাজার, ভট্টপুর, গাবতলী, হাড়িয়া, অর্জুন্দী, দুলালপুর, গোবিন্দপুর, কৃষ্ণপুরা, বাগমুছা, হাতকোপা, দত্তপাড়া, আদমপুর, খাগুটিয়া, খাসনগর দীঘিরপাড়, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, দরপত, টিপরদী, হরিষপুর, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়াদিঘীর পাড় ইত্যাদি। পাতি, কদমী আর বোম্বাই এই তিন প্রজাতির লিচুর ফলনই সোনারগাঁওয়ের বাগানগুলোতে বেশি হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে পাতি লিচুর চাষই সবচেয়ে বেশি হয়। তা ছাড়া এ প্রজাতির লিচু সবচেয়ে আগে বাজারে আসে। এ ছাড়া কদমী চাষ করছে অনেকেই।
সোনারগাঁও পৌরসভার দিঘীরপাড় এলাকার লিচু চাষি পিয়ার হোসেন জানান, বাগান কয়েক ধাপে বিক্রি হয়। গাছে মুকুল আসার আগেই এবং লিচু গুটি হওয়ার পরে বাগান বিক্রি হয়। লিচু পাকার আগেই বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয় বাগানের মালিকানা। তবে অনেক বাগান মালিকরা লাভের আশায় নিজেই শ্রম দেন। অনেক সময় খরার কারণে লিচুর আকার ছোট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় বৈশাখী কালবৈশাখী ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয় লিচু বাগান। তখন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সোনারগাঁও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, চলতি মৌসুমে এবার উপজেলায় বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ১০ হেক্টর জমিতে লিচুর গাছ রয়েছে। আমরা লিচু চাষিসহ বসতবাড়িতে থাকা লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাছ মালিকদের সেবা দিয়ে আসছি।