কেউ কেউ দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেই শিক্ষকদের পরিচালনার ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রি পাস অথবা গ্র্যাজুয়েট হওয়া দরকার বলে শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা মনে করেন। বর্তমানে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমসাময়িক বিষয়সহ সব বিষয় দেশের উন্নয়নের সঙ্গে যেখানে দিন দিন আরও উন্নতির দিকে যাওয়ার কথা, সেখানে এসব স্কুলের শিক্ষার মান কমছে নাকি বাড়ছে তার কোনো খোঁজ-খবর রাখতে পারছে না মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটির সদস্যরা। অনেকাংশে দেখা গেছে, কোনো কোনো মাধ্যমিক স্কুল কমিটির সভাপতি বা অন্যান্য দায়িত্ব প্রাপ্তদের অক্ষর জ্ঞানও নেই।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইডস ফাউন্ডেশনের আইনজীবী নিগার সুলতানার পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এই রিট করেন। রিটে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম গ্র্যাজুয়েটের (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) বিধান করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নয় বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিধান চালু হলো।
তাহলে কেন সরকারি ও বেসকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে না। উল্লেখ্য, গ্র্যাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না বলেও অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।