বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সবশেষ ২০২৩ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ গজ মাতিয়েছিলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারত যাচ্ছে টাইগাররা। স্কোয়াডে না থাকলে এ সিরিজে টাইগারদের সঙ্গী হতে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল।
গুঞ্জন উঠেছিলো আসন্ন ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যেতে পারে তামিমকে। সেটাই সত্যি হলো। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ধারাভাষ্যকার হিসেবে অভিষেক হচ্ছে এই ওপেনারের। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকছেন তিনি। দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ধারাভাষ্য দেবেন তামিম।
জানা গেছে, ভারত সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে অভিজ্ঞ আতহার আলী খানের সঙ্গে থাকবেন তামিম। ভারতের পক্ষে থাকবেন হার্শা ভোগলে, দীপ দাশগুপ্ত এবং মুরালি কার্তিক। এই সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার মধ্যদিয়ে ভারত সিরিজে তার উপস্থিতি আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
কমেন্ট্রিবক্সে মাইক্রোফোনের পেছনে তামিম যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার নমুনা পাওয়া গিয়েছে আগেই। তামিম নিজেও বলেছিলেন, ব্যাট বলের ক্রিকেট ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবেই কাজ করতে চান তিনি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তামিম জানিয়েছিলেন, আমার মনে হয় না আমি কোচিং লাইনে আসব। তবে কমেন্ট্রি আমাকে একটু টানে। আসলে এই বিশ্বকাপেও প্রস্তাব এসেছিল আমার কাছে। দুর্ভাগ্যবশত করা হয়নি। খুব সম্ভবত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (আমাকে দেখা যেতে পারে)।
তবে জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম দিনে ধারাভাষ্যকক্ষে ছিলেন। এবার ভারত সিরিজ দিয়ে পুরোপুরি সেই পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তামিম ইকবাল। সেক্ষেত্রে তা হবে ক্রিকেট ভক্তদের জন্য বাড়তি এক পাওয়া।
উল্লেখ্য, ১৯ তারিখ থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ। কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দলের খেলার কথা দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি টেস্টই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকালে ১০টায়। এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর। এই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।