ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। কাগজে কলমে এগিয়ে থাকবে ওয়েলসই, তবে ইরানও সক্ষম গোল করতে। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় সংগীত না গেয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল ইরানের ফুটবলাররা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছটা গোল খাওয়ার পর আজ তারা কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সেটাই ছিল দেখার।
ওয়েলস ম্যানেজার রবার্ট পেজ জানিয়েছিলেন ড্র নয়, ইরানের বিরুদ্ধে তাদের জয় একমাত্র লক্ষ্য। অন্যদিকে ইরানের পর্তুগিজ ম্যানেজার কার্লোস কুইরোজ জানতেন বিশ্বকাপে টিকে থাকতে গেলে আজ জয় ছাড়া রাস্তা নেই তাদের। এদিন দলে পাঁচটা পরিবর্তন করেছিল ইরান।
প্রত্যেকে জাতীয় সংগীত গাইল। প্রথম থেকেই দলে রাখা হয়েছিল স্ট্রাইকার সর্দার আজমুনকে। আজ হারলেই বিশ্বকাপ থেকে ইরানের বিদায় নিশ্চিত ছিল। ১৬ মিনিটে গোলিজাদা গোল করে ইরানকে এগিয়ে দিলেও অফসাইড হয়ে যায়। আজমুন গোলের কাছাকাছি এসেও ফিনিশ করতে পারেনি।
৫১ মিনিটে আজমুনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এক মিনিট পর আবার ইরানের একটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করে দেয় গোলপোস্ট। ৬৬ মিনিটে অজমুনের বদলি হিসেবে আসেন করিম আনসারিফর্ড। জঘন্য ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসে। শেষ ১০ মিনিট দশজনে খেলতে হয় তাদের। একজন বেশি ফুটবলার নিয়ে ইরান আক্রমণ চালিয়ে গেল বটে, কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারছিল না এশিয়ান দলটি।
অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদ করলেন ইরানের রজবে চেশমি। এক মিনিট পর আবার গোল ইরানের। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে গেলেন রমিন রিজিয়া।