বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইতালি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদার বিরেুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলে সিআইডিকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) পৌর শহরের চিংগুড়িয়া এলাকার ইতালি প্রবাসী রত্তন পাহলান আদালতে এই নালিশি মামলা দায়ের করেন। পরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোভন শাহরিয়ারের আদালত অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন।
মামলায় কলাপাড়া শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৭৩’র প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানসহ তার বাবা আনোয়ার হোসেন খান এবং মা জাহানারা খানকেও আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ২০০২ সালে বিদেশে যান রত্তন পাহলান। ২০০৯ সালে তিনি ইতালির নাগরিকত্ব পান। ইতালি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ২০১১ সালে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে শিক্ষিকা সানজিদার সঙ্গে বাদী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন দাম্পত্য ও সাংসারিক জীবন যাপনের পর সানজিদার মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে বাবা-মা ও ভাই-বোনের যৌথ সংসার থেকে পৃথক হতে বাধ্য হন রত্তন পাহলান।
এরপরও স্ত্রীর প্রতি সরল বিশ্বাসে ইতালি থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে নভেম্বর ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে স্ত্রীর এনআইডি ৭৮২৬৬০৭৭০২৫৯৫ এবং শ্বশুরের এনআইডি ৭৮২৬৬০৭৭০২৫৯৬ নম্বরে আনুমানিক এক কোটি টাকা পাঠান। সেই টাকা রেমিটেন্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ব ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রী সানজিদার অমনোযোগী থাকার বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে। এরপরও ৫ বছরের কন্যাশিশু মালিহার মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীর প্রতি আরও যত্নবান হতে থাকেন স্বামী রত্তন। কিন্তু সানজিদা নিজের নামে শহরের চিংগুড়িয়া এলাকার বাড়িসহ সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় ১২ ডিসেম্বর বাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তার বাবা-মা’র কাছে চলে যায়।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, আসামিদের প্রতারণা ও আত্মসাতের বিষয়ে প্রতিকার পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আপোষ ফয়সালার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে মামলা করেন প্রবাসী রত্তন পাহলান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।