বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীতে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টিতে আরো শীতল হয়েছে প্রকৃতি। তবে হঠাৎ করে আসা এ বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসীরা। তবে এ শীতে রাস্তাঘাটে যে ধুলোবালি জমে থাকে, তা থেকে নগরবাসীরা কিছুটা হলেও রেহাই পেয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরপরেই রাজধানীর মিরপুর, কালশী, শেওড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বৃষ্টি হয়।
অফিসগামী সাংবাদিক মামুনর রশিদ বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে সঙ্গে ছাতা না থাকায় বিপদে পড়েছি। বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়েই অফিসে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, আজ দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলো জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী তিন-চার দিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবার একটানা বৃষ্টিও হবে না। থেমে থেমে আগামী তিন-চার দিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর তাপমাত্রা কমবে এবং শৈত্যপ্রবাহ আসার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২-১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আগামী দুই দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়া দফতর আরো জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ এলাকায়ই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে।