হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, শুক্রবার রাতে মোবাইলের মাধ্যেমে খবর আসে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে আটকে রেখেছে এলাকাবাসী। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুর বাবা মাদ্রাসাশিক্ষক মমিনুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে ওই শিশুর বাবা উল্লেখ করেন, হিলি হাকিমপুর উপজেলার বিশাপাড়া এলাকায় হিলফুল ফুযুল মাদ্রাসায় তার ছেলে বোর্ডিংয়ে থেকে লেখাপডা করে আসছিল। অভিযুক্ত শিক্ষক মমিনুল ইসলাম ওই মাদ্রাসায় রাত্রি যাপন করতেন। সেই সুবাদে ওই শিক্ষক শিশুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করতেন। এই ঘটনা কাউকে বললে শিশুকে হত্যার হুমকিও দিতেন।
প্রতিদিনের মতো গত ১৬ আগস্ট ওই শিশুকেও সে ফের বলাৎকার করে। শুক্রবার মাদ্রাসা ছুটি হওয়ায় শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে শিশুর পরিবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।
এদিকে, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামবাসী অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে মাদ্রাসার কক্ষে আটক রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ওসি আরও জানান, অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক শিশুটিকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে।