রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্থলী রেঞ্জের উদ্যোগে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো:
সাজ্জাদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য।
এছাড়াও সভায় রাজস্থলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ তুহিনুল হক, রাজস্থলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজগর আলী, কাপ্তাই প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ কবির হোসেন ও হাতি রক্ষা কমিটি (ERT)-এর সদস্যগণ এবং স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাজস্থলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মানব-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয়
বক্তারা বলেন, হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে বনাঞ্চল সংরক্ষণ জরুরি। মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্ব কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বন্যপ্রাণীর জন্য পৃথক করিডোর তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে তারা নির্বিঘ্নে নিজস্ব আবাসস্থলে বিচরণ করতে পারে।
সভায় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হাতির আবাসস্থল সংরক্ষণ ও মানব-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণী আমাদের সম্পদ, আসুন তাদের রক্ষা করি
বক্তারা বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী আমাদের দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই, সকলের উচিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এগিয়ে আসা এবং আইন মেনে চলা।
সমাপনী বক্তব্যে বন কর্মকর্তারা বলেন, “বন্যপ্রাণী রক্ষা করুন, প্রকৃতি রক্ষা করুন। মানুষ ও প্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”