বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে। মূলত কাতার, মিশর এবং আমেরিকার যৌথ মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস এবং ইজরায়েলি সেনা।
ইজরায়েলের সরকার জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত মোতাবেক হামাস ইজরায়েল থেকে অপহৃত ২৪০ জনের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ১৩ জন মহিলা এবং শিশুকে। তবে তার বিনিময়ে ইজরায়েলের জেলে বন্দি ঠিক কত জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
ইজরায়েলের সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রতি এক জন বন্দির বিনিময়ে তিন জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। চুক্তির পারিপার্শ্বিক শর্ত মেনে, গাজ়ায় যত দ্রুত সম্ভব মানবিক সাহায্য এবং ত্রাণ পাঠাতেও সাহায্য করবে ইজরায়েল। যদিও চুক্তির অনেক শর্তই এখনও পর্যন্ত অস্পষ্ট।
তবে যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই আবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যুযুধান ইজরায়েলি সেনা এবং হামাস। আর যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের বিরুদ্ধে ‘আয়রন বিম লেজারগান’ ব্যবহার করতে পারে ইজরায়েল।
দেশের আকাশকে নিরাপদ রাখতেই ইজরায়েল এই মহাশক্তিধর হাতিয়ার কাজে লাগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, আকাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য হামাসের সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম বার এই অত্যাধুনিক লেজারঅস্ত্র ব্যবহার করতে চলেছে ইজরায়েল।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, আকাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য হামাসের সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে প্রথম বার এই অত্যাধুনিক লেজারঅস্ত্র ব্যবহার করতে চলেছে ইজরায়েল।
মনে করা হয়, অত্যাধুনিক সেই লেজারঅস্ত্র ‘স্টার ওয়ার্স’ এবং ‘স্টার ট্রেক’-এর মতো কল্পবিজ্ঞানের সিনেমার অস্ত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ‘আয়রন বিম লেজারগান’ প্রথম সিঙ্গাপুরের একটি অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে আনা হয়। ২০২৫ সাল নাগাদ এই অস্ত্র ইজরায়েলের সেনায় পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তাড়াহুড়ো করে আসরে নামানো হল ‘মহাস্ত্র’কে।
ইজরায়েলের আকাশকে সুরক্ষিত রাখতে সে দেশের সেনার হাতে আগে থেকেই ‘অ্যারো-২’, ‘অ্যারো-৩’, ‘ডেভিডস স্লিং’ এবং ‘আয়রন ডোম’-এর মতো ‘নিশ্ছিদ্র পাহারাদার’ রয়েছে। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন হল ‘আয়রন বিম লেজার গান’।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘আয়রন বিম লেজার গান’, ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকে আরও বেশি আধুনিক এবং সাশ্রয়ী।
আয়রন ডোম থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সে জায়গায় লেজার রশ্মি তৈরির খরচ মাত্র কয়েক ডলার। আনন্দ বাজার