বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : পৃথিবীতে যেমন হালাল উপায়ে উপার্জন করা যায় তেমনই হারাম উপায়েও উপার্জন করা যায়। উপার্জিত সম্পদ দুটি একই হলেও পদ্ধতিটা থাকে আল্লাহ তাআলার আদেশ লঙ্ঘন ও শয়তানকে খুশি করার। তাই সে সম্পদে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোনো বরকত থাকে না।
উপার্জিত সম্পদ থেকে বরকত পেতে হলে অবশ্যই সম্পদ হালাল হতে হবে। আল্লাহ তাআলা তার অনুগত বান্দাকেও যেমন সম্পদ দেন তাকে অস্বীকারকারীকেও তেমন সম্পদ দেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا وَ زِیۡنَتَهَا نُوَفِّ اِلَیۡهِمۡ اَعۡمَالَهُمۡ فِیۡهَا وَ هُمۡ فِیۡهَا لَا یُبۡخَسُوۡنَ
অর্থ : যারা শুধু পার্থিব জীবন ও তার সৌন্দর্য কামনা করে, আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ (এর ফল) পৃথিবীতেই পরিপূর্ণরূপে প্রদান করে দিই এবং সেখানে তাদের জন্য কিছুই কম করা হয় না। (সুরা হুদ ১৫)
যারা দুনিয়া কামনা করে এবং পরকালের হিসাবের ভয় করে না তারা হালাল-হারাম বাচবিচার করে না। আল্লাহ তাআলা তাদের দিতেও কার্পণ্য করেন না। তাই তারা দুনিয়ায় সুখ নিয়ে আখেরাতের সুখ থেকে বঞ্চিত হয়।
কেউ যদি হালাল পথে চলে আসে এবং হারাম ছেড়ে দেয় তখন অথবা কেউ যদি কখনো ভুলে হারাম উপায়ে কিছু কিনে ফেলে বা অর্জন করে তাহলে, হারাম উপায়ে অর্জিত টাকা তার প্রকৃত মালিক বা তার ওয়ারিশদের কাছে ফেরত দিতে হবে।
যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে হারাম টাকায় কেনা জিনিস সদকা করা উত্তম, সেই জিনিস সদকা না করে যদি তার মূল্য সদকা করে তবুও দায়িত্বমুক্ত হবে। (হেদায়া, ৩/৩৭৬, রদ্দুল মুহতার, ৫/২৩৫, ফাতাওয়ায়ে উসমানি, ৩/১২০)