বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দুর্নীতির মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে আর নতুন করে সাজা খাটতে হবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তার জেলে থাকার ১৬ মাস সময়কে মামলার সাজা হিসেবে গণ্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হারুন এ মামলায় যে ১৬ মাস হাজতবাস করেছেন সেই সময়কালটাই তার সাজা হিসেবে গণ্য হবে। তাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিলো, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় হারুন আর রশীদ জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করেন। গাড়িটি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। নিয়মানুসারে শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক ইউনুছ আলী মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৭ জন সাক্ষী।
পরে এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। পরে এ রায়ের হারুন বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।