বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা অন্য রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন। এ সময় সাইরেন বাজিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল এলাকায় প্রবেশ করে। বাইরে বের হয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন অ্যাম্বুলেন্সে প্রসববেদনায় ছটফট করছেন এক প্রসূতি নারী।
প্রসববেদনার সঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও খিঁচুনি। এ কারণে ওই নারী চোখে দেখতে পারছিলেন না। অ্যাম্বুলেন্স থেকে হাসপাতালের শয্যায় নেওয়ার মতোও অবস্থা নেই। ফলে অ্যাম্বুলেন্সেই প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ। অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসক তাঁর অন্যান্য স্টাফদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে সফলভাবে ওই নারীর সন্তান প্রসব করান। সন্তান জন্মের পর স্বজনদের মুখেও হাসি ফুটে।
গতকাল রোববার বেলা দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে। সদ্য মা হওয়া ওই নারীর নাম সাজেদা আক্তার। তিনি ফেনী সদর উপজেলার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ।
নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ওই নারীর স্বজনেরা তাঁকে জানিয়েছেন, প্রসববেদনা ওঠার পর সাজেদাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন নারীর উচ্চ রক্তচাপ ও খিঁচুনি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
পথে রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সচালক সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাড়ি থামান। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে হানির নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল অ্যাম্বুলেন্সেই ওই নারীর সন্তান প্রসব করান।
নুর উদ্দিন আরও বলেন, জন্মের পর নবজাতক কন্যাসন্তানটি সুস্থ থাকলেও তার মায়ের অবস্থা ভালো ছিল না। তাই সন্তানসহ ওই নারীকে পরে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।