বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি এবং গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার মেশিন অকেজো করে রাখার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান চেয়ে সরকারকে পৃথক পৃথক আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আনিচুর রহমানের পক্ষে আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বুধবার এই নোটিশ দিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার এই নোটিশ দেওয়ার তথ্য জানান সংশ্লিস্ট আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) চেয়ারম্যান, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের অধ্যক্ষ, গোপালগঞ্জ হাসাপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় দুর্নীতি নিয়ে গত ১১ জুলাই “২ হাজার টাকার ‘টিউব’ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়” শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নোটিশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্ত পরীক্ষায় ব্যবহƒত ছোট্ট একটি টিউবের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য দুই হাজার টাকা। এ হিসাবে ৫০টি টিউব কিনতে লাগার কথা ১ লাখ টাকা। কিন্তু সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও ৫শ শয্যার হাসপাতাল তা কিনেছে ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি টিউবের পেছনে প্রতিষ্ঠানটি ব্যয় দেখিয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অথচ বাজারে এ ধরনের টিউব ৩শ থেকে ৫শ টাকায় পাওয়া যায়। এই কেনাকাটায় দুর্নীতির এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অডিট আপত্তিতে।
আর গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন অকেজো হওয়া নিয়ে গত ৭ জুলাই ‘গোপালগঞ্জে ৩৮ কোটি টাকার মেশিন অকেজো’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে এসব মেশিন ১৫ দিনের মধ্যে সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।