বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) নেওয়া হয়েছে কারাবন্দি ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনকে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেওয়ার কারণে তাকে আবার কারাগারে ফেরত আনা হয়েছে।
এর আগে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় জুম মিটিং করার ঘটনায় ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে চার কারারক্ষীকে।
শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, বন্দী রফিকুল আমিনকে বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সেই ছাড়পত্র অনুযায়ী তাকে পুনরায় কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত আনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে কারাবিধি অনুযায়ী জেলকোড ভঙ্গের কারণে বন্দির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এমডি রফিকুল আমিনকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।
হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকে তিনি জুমে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং নতুন এমএলএম কোম্পানি খোলার কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি জুম মিটিংয়ের প্রায় এক ঘণ্টার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ রফিকুল আমীনের পাহারায় থাকা প্রধান কারারক্ষীসহ আটজনকে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়। গতকাল ৪ প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মানি লন্ডারিং মামলায় রফিকুল আমীনকে ২০১২ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, এরপর থেকে রফিকুল আমীন একেক সময় একেক রোগের কথা বলে হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকেছেন। তিনি মূলত ঘুরেফিরে বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ সময় ছিলেন বিএসএমএমইউতে। তবে এবারের মতো একটানা এত লম্বা সময় তিনি এর আগে ছিলেন না। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ টানা দেড় মাস থেকেছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ এপ্রিল তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আসেন।