বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা যে বিবৃতি দিচ্ছেন, তা ভারত সরকার সমর্থন করে না। এটি দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্কে একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন ভারতের পররাষ্ট্ররসচিব বিক্রম মিশ্রি। দেশে ফিরে ঢাকা সফর নিয়ে বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন তিনি। ওই ব্রিফ্রিংয়ে ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়ে এ কথা বলেন বিক্রম মিশ্রি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে এ তথ্য বলা হয়েছে।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ‘একক রাজনৈতিক দলের’ ভিত্তিতে নয়। এক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের জনগণকে গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক মন্তব্যের জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডে বসে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন। এটি তৃতীয় দেশে হস্তক্ষেপ এড়ানোর ভারতের ঐতিহ্যবাহী অনুশীলনের অংশ।
এর আগে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নয়াদিল্লির সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ ব্রিফিং চলে। এতে দেশটির ২১ থেকে ২২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েক সংসদ সদস্য জানতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় ভারতে অবস্থান করছেন। এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন বিক্রম মিশ্রিকে।
বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর। তিনি জানান, ব্রিফিংয়ের সময় সচিবের কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না।
তিনি জানান, আমরা যেকোনো ক্ষেত্রে এই ধরনের বিষয়ে সংসদে রিপোর্ট করি। কারণ এটি একটি সংসদীয় কমিটির আনুষ্ঠানিক বিষয়; যার জন্য প্রতিবেদন প্রয়োজন। আপাতত আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে।