বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনা ক্রমেই ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন অভিযোগের জালে। আগেই জানা গেছে, ধর্ষক আশিকের সঙ্গে পূর্বপরিচয় আছে তার। এখন জানা গেল- আশিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে যৌনকর্মী সাপ্লাই দিতেন ঐ নারী পর্যটক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান, ভুক্তভোগী নারী ও মামলার বাদীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য অধিকতর তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
র্যাব ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারী গত তিন মাস ধরেই কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। স্বামী-সন্তানসহ জেলার ৭টি হোটেলে রাত্রিযাপন করেছেন তিনি। মাঝে কয়েকবার ঢাকায় গেলেও অল্প সময়েই আবার ফিরে আসেন কক্সবাজারে।
নাম না প্রকাশের শর্তে লাইট হাউজ এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, সন্ত্রাসী আশিক ও তার গ্রুপ হোটেল-মোটেল জোনে ইয়াবা-মদ সাপ্লাই দেয়। তাদের পক্ষ থেকেই দীর্ঘদিন বিভিন্ন হোটেলে যৌনকর্মী সাপ্লাই দিতেন ঐ নারী পর্যটক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে ঢাকা থেকে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে ঐ নারী কক্সবাজারে বেড়াতে যান। বিকেলে তিনি সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে সন্ধ্যায় ঐ নারীকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে একটি রিসোর্টে নিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়।
আরো জানা গেছে, হোটেলের ভেতরেই মাদক সেবনের পর ধর্ষকরা তাকে আবারো ধর্ষণ করে। পরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে যায়। এসব ঘটনা কাউকে জানালে তার স্বামী-সন্তানকে হত্যা করা হবে বলেও ভয়ভীতিও দেখায় তারা। পরে ওই নারী এক ব্যক্তির সহায়তায় দরজা খুলে বের হন এবং ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে জিডি করার জন্য। এরপর হোটেল রুমের বাইরে একটি সাইনবোর্ড থেকে নম্বর নিয়ে কল দেন র্যাব-১৫-তে। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।