বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধের দেশের সব স্কুল ও কলেজ খুলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছেন।
৫৪৪ দিন পর চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও রোববার কলেজে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে মনে হয়েছে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছেন। এই অনুভূতির বর্ণনা নেই তার কাছে।
বিকেলে দীঘি বলেন, কলেজে গিয়ে একদম অন্য রকম অনুভূতি হলো। মনে হলো, কলেজের আজ প্রথম দিন। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। মনে হলো, আমরা সেই আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। মনে হচ্ছে, নিঃশ্বাস নিচ্ছি পরিশুদ্ধ বাতাস থেকে।
কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই সহপাঠীরা দীঘির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দীঘি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, আবার সেই আড্ডা- এসব ভেবে এত দিন পুলক বোধ করছিলাম। আজ সেই আনন্দের দিনটা অবশেষে এলো এবং অদ্ভুত রোমাঞ্চ নিয়ে ঘুম ভাঙল। দিনের শুরুটাই চমৎকার হলো।
দীঘি বলেন, যখন ক্লাসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম, ঠিক করতে পারছিলাম না কোনটা রেখে কোনটা করব! এত দিন পর ক্লাসে গিয়ে সব নতুন লেগেছে। তবে ভালো লাগছিল বেশ। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। কলেজে ঢোকার আগে হাত ধুলাম। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলাম। আর আমরা গ্যাপ রেখে ক্লাসে বসেছি। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে এ জন্য যে সেফটি মানা হচ্ছে আবার ক্লাসও হচ্ছে।
মহামারি সম্পর্কে সতর্কতাও উচ্চারণ করলেন দীঘি। বললেন, স্কুল-কলেজ খুলেছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু এই আনন্দে আমাদের বোকার মতো ভেসে চললে হবে না। সবাইকে সতর্কভাবে চলতে হবে। কেননা এখনো করোনাভাইরাস দেশ থেকে চলে যায়নি। আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। স্যার-ম্যাডামদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ঝুঁকি থাকে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
ধানমণ্ডির ৯/এ-তে অবস্থিত স্ট্যামফোর্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রার্থনা দীঘি। মাঝে পড়াশোনার জন্য অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন।