বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মৎস্য ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মৎস্য পদক দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ বছর নির্ধারিত নয়টি ক্ষেত্রের মধ্যে আটটি ক্ষেত্রে স্বর্ণ, সাতটি ক্ষেত্রে রৌপ্য ও ছয়টি ক্ষেত্রে ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। পদক ঘোষণা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।
রেণু উৎপাদনের জন্য স্বর্ণপদক পেয়েছে বগুড়ার শেরপুরের মাইজভান্ডারী মৎস্য খামার, গাজীপুরের ছোঁয়া ফিসারিজ অ্যান্ড হ্যাচারিজ লিমিটেডের টিপু সুলতান।
মৎস্য উৎপাদনে চট্টগ্রামের সুখবিলাস ফিশারিজ অ্যান্ড প্ল্যান্টেশনের এরশাদ মাহমুদ, বাগদা চিংড়ি পিএল উৎপাদনে কক্সবাজারের নিউ রয়েল শ্রিম্প হ্যাচারির ওমর ফারুক, গলদা চিংড়ি উৎপাদনে খুলনার রায়হান অ্যাগ্রো ফিসারিজের সফিকুর রহমান, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানিতে খুলনা ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্ট লিমিটেডের মনসুর আলী স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্বর্ণপদক পেয়েছে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স, পিরোজপুর। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে স্বর্ণপদক পেয়েছেন ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের ৫২টি দেশে মাছ রপ্তানি করছি। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ আয় করা সম্ভব হচ্ছে। কিছু দুষ্টু মানুষের লোভের কারণে মাছের বৈদেশিক বাজার নষ্ট হয়েছিল। তারা আয়রনসহ নানা ধরনের খারাপ জিনিস ঢুকিয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে বিদেশে মাছ রপ্তানি ও বিদেশ থেকে মাছ, মাছের খাবারসহ অন্যান্য পণ্য আনার ক্ষেত্রে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, দেশে চার শতাধিক মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। চাষি পর্যায়ে রোগমুক্ত চিংড়ি পোনা বিতরণে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ে মৎস্যচাষিদের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছানোর লোকবলের অভাব রয়েছে।