বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ২০০৩ সালে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে, ২০০৮ সালে তিনটি ওয়ানডে—অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ দলের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা এটুকুই। তা–ও মূল কোনো ভেন্যুতে নয়। ডারউইন ও কেয়ার্নস নামের দুই অখ্যাত শহরে। এরপর অস্ট্রেলিয়া দুবার বাংলাদেশ সফর করলেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আর কখনোই অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
আইসিসির নতুন ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার সুযোগ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। তবে নতুন চক্রে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।
আজ বিসিবি কার্যালয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে সভা শেষে এ কথা জানান বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখনো কথা হচ্ছে। নিশ্চিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা সিরিজ খেলতে। আমরা আশা করছি ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব। অস্ট্রেলিয়া ২০২৭ সালে দুটো টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এখনো নিশ্চিত হয়নি। ২০২৬ সালে ওরা আসবে। অস্ট্রেলিয়া আছে, ইংল্যান্ড আছে, সাউথ আফ্রিকা আছে, তাদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো আছেই। কিছু কিছু সিরিজ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে, পরে আপনারা জানতে পারবেন।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আইসিসির সভায় ২০২৩-২০২৭ সালের ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার খসড়া সূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আগামী চার বছরে ৪২টির মতো টেস্ট সূচিভুক্ত করতে পেরেছে বিসিবি বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘আলাপ–আলোচনা করে যেগুলো চূড়ান্ত করেছি এর মধ্যে ৪০+ টেস্ট , ৭০+ ওয়ানডে, ৭৬+ টি-টোয়েন্টি। হতে পারে এখান থেকে কিছু বদল হতে পারে। এইগুলো আইসিসি ইভেন্টের বাইরে। এরপর তো আইসিসি ইভেন্ট আছেই। এর মধ্যে তিন জাতি সিরিজও খেলতে পারি।’
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সভার মূল আলোচনায় ছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজ ঘিরে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ মে বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলতে আসবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দলও একই দিন সিরিজের জন্য ক্যাম্প শুরু করবে। আগামী ৭ মে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা।
পারিবারিক সমস্যার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ওয়ানডে সিরিজ খেলে দেশে ফেরা সাকিব আল হাসানের শ্রীলঙ্কা সিরিজে থাকা না থাকার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জালাল ইউনুস সাকিবের ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমি দুই-এক দিনের মধ্যে সাকিবের কাছ থেকেই জানতে পারব। তার সঙ্গে আলাপ–আলোচনা হচ্ছে। যেহেতু কিছুদিন আগে তার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন, সে অনেক ব্যক্তিগত কিছু সমস্যায় ছিল। সে জন্য তাকে আমরা কিছু বলিনি। তার পারিবারিক সমস্যা সমাধান হলে তাকে আমরা পেতে পারি।’