বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার তৃতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ দিন ধার্য করেন। আগামী নভেম্বরে এ মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও মো. খুরশীদ আলম খান।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, গত ১৮ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বাদীপক্ষ সম্ভবত চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ উপস্থাপন করবে। এরপর আমাদের সাক্ষী, যুক্তিতর্ক রয়েছে। আশা করছি, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই মামলা থেকে খালাস পাবেন।
গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। গত ২২ আগস্ট এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার পর তাকে জেরা করেন ড. ইউনূসের আইনজীবীরা। এরপর গত ৫, ১৩, ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ৩ ও ১১ অক্টোবর সাক্ষীকে জেরা করেন ইউনুসের আইনজীবী।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।