1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শীতকালীন সাহিত্য উৎসব পল্লী কবি জসীম উদ্দিন পদক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঘুরে আসুন সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে অপহরণের ২৩ দিনেও মিলেনি মাদ্রাসাছাত্র মোতাসিম বিল্লাহর সন্ধান গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন ‘সামাজিক ন্যায়বিচারে রুবি গজনবী পুরস্কার জিতল নারীপক্ষ “ ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠছে নতুন আলু : দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনিবন্ধিত বাচ্চাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা ও পরামর্শ প্রদান নেত্রকোনা পূর্বধলায় জমি উদ্ধারের সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতিচারণ শীর্ষক ফ্যাসিবাদ বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন নয়, সবাইকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়াই হলো সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য -সুপ্রদীপ চাকমা

২ লাখ কোটি টাকা লুট করেছে হাসিনার দোসররা, অভিযোগ গভর্নরের

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর অভিযোগ করেছেন, গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর টাইকুন বা ধনকুবেররা ব্যাংকখাত থেকে ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার লুট করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাথে যুক্ত টাইকুনদের বিরুদ্ধে তার শাসনামলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচারের জন্য দেশের শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগ করেছেন।

ফিনান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) নেতৃস্থানীয় ব্যাংকগুলো জোরপূর্বক দখলের কাজে সহায়তা করেছিল।

মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলো দখলে নেওয়ার পর আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন টাকা বা ১ হাজার ৬৭০ কোটি মার্কিন ডলার লুট করা হয়েছে। মূলত ব্যাংক দখলে নেওয়ার পর নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালান স্ফীত করার মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে এই অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে। যেকোনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড়, সর্বোচ্চ ব্যাংক লুটপাট। বিশ্বের আর কোথাও এই পরিমাণে লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি এবং এর পেছনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল এবং গোয়েন্দারা (ব্যাংকের সাবেক সিইওদের) মাথায় বন্দুক না ধরলে এটি ঘটতে পারত না।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্য্ংকের এই গভর্নর বলেন, শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার সহযোগীরা ডিজিএফআই-এর সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ন্যূনতম ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিনিয়ে নিয়েছে। প্রতিদিনই তারা নিজেদেরকে ঋণ দিতো।

অবশ্য সাইফুল আলমের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান এক বিবৃতিতে জানায়, গভর্নরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এস আলম গ্রুপ।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত প্রচারণা যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিগুলোকেও সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে অবদান রেখেছে। গ্রুপের রেকর্ড এবং অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গভর্নরের অভিযোগগুলোকে আশ্চর্যজনক এবং অযৌক্তিক।

ফিনান্সিয়াল টাইমস বলছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। এছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ডিজিএফআই-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত হন আহসান মনসুর।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com