বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা ভেলুয়া ইউনিয়নে ডাকড়াপাড়া ও চরহাবর গ্রাম নিয়ে ৭ নং ওয়ার্ড। এই দুই গ্রামের মোট ভোটার দুই হাজারের উপরে। ওই দুই গ্রামের মানুষের ভোট কেন্দ্র ডাকড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে আমাদের ওপর হামলা করে, হুমকি ধামকি দিয়ে জোর করে ভোট নেয়। ত্রিশ বছর যাবৎ আমরা আমাদের ভোট দিতে পারি না। সামনে ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে এখানে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে স্থানীয় লোকজন নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন দিয়েছে।
ওই এলাকার ভোটার ফজল মিয়া (৭৭), তাসলিমা বেগম (৪৫), কুলসুম বেগম (৪৮), দোলোয়ার হোসেন (৩৫), দুলাল মিয়াসহ (৬৭) অনেকে জানান, আমারা ভোট দিতে পারি না ত্রিশ বছর। কোন প্রভাবশালী প্রার্থী স্থানীয় কজন মাস্তান ও বহিরাগতদের ভাড়া করে এনে ভোটের দিন ভয় দেখিয়ে ভোটারদের কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ভোট সিল মেরে নিয়ে যায়।
জানা যায়, ভেলুয়া ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। এর মধ্যে ৭ নং ওয়ার্ডের ডাকড়াপাড়া গ্রামে ভোটার সংখ্যা অন্তত ১৮শ আর চরহাবার গ্রামে ভোটার সংখ্যা সাতশ । প্রতি নির্বাচনে বহিরাগতরা এসে জোরপূর্বক ওই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে যায়।
অন্য মানুষের প্রক্সি ভোটেই নির্বাচিত হয় এখানের জন প্রতিনিধি। ভয়ে মহিলারা তো ভোট কেন্দ্রে আসেই না আর পুরুষ ভোটারা আসলেই মারামারি হয়। গত কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিটিতে বেশ কয়েকজন করে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জিল সাদিক বলেন, আমরা ডাকড়াপাড়া গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে জেলা নির্বাচন অফিসসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। প্রকৃত ভোটাররা যাতে করে ভোট দিতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে।