বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চে ৩৫০-এর মতো যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস ঠিক ছিল। আগুনের ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটিও করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এসব কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হিসাব মতে লঞ্চে ৩৫০-এর মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় মৃত সবার পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটা এখনই বলতে পারছি না।
‘লঞ্চের ব্যবসা কারা করে আপনারা সবাই জানেন। শেখ হাসিনার পরিবার লঞ্চের ব্যবসা করে না’ উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দগ্ধদের দেখতে যান বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। লঞ্চ থেকে ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিনটি মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দমকল কর্মীরা অভিযান চালাচ্ছে।