1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বৈষম্য দূর করতে জুলাই বিপ্লবের নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে- ড. হোসেন জিল্লুর রহমান অভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন ফ্রি চিকিৎসা ও ইউনিক আইডি কার্ড এই দুইজন কী করে উপদেষ্টা পরিষদে এলো, প্রশ্ন মান্নার দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন: তারেক রহমান ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান বরিশালকে পুনরায় শস্যভান্ডারে রূপান্তর করা হবে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা পুলিশ বাহিনীকে নিজেদের প্রমাণ করার এখনই উপযুক্ত সময়- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন : ভূমি উপদেষ্টা থেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠক, শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

৪ উপদেষ্টার আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর পূরণের আশ্বাসে সড়ক থেকে হাসপাতালে ফিরেছেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা। চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের শান্ত করতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে ছুটে যান অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার এক সহকারী।

এর আগে যথাযথ চিকিৎসার দাবিতে বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগেরও দাবি করেন তারা।

অভ্যুত্থানে আহত এই ব্যক্তিদের শান্ত করতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে তাদের কাছে ছুটে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সহকারী (স্বাস্থ্য) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. সায়েদুর রহমান।

উপদেষ্টারা ভুল স্বীকার ও দুঃখপ্রকাশ করেন। তারা আহতদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সচিবালয়ে বৈঠকে বসার কথা বলেন। আহতদের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার জন্য দুটি গাড়ি পাঠাবেন বলে জানান।

আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে ডিসেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।

আহতদের উদ্দেশে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘এখন এখানে আপনাদের কথা শোনার মতো উপযুক্ত সময় নয়। আগামীকাল ২টার সময় সচিবালয়ে আসেন। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। সেই রূপরেখা ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।’

এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের ভুল আছে। কিন্তু চেষ্টার দিক দিয়ে আমাদের ঘাটতি ছিল না। যেকোনো কারণেই হোক আমরা পারিনি। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন, আমরা একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা দেব, লিখিত দেব।’

নিজেদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘একটা ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। বহু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসুন আমরা আলোচনার ভিত্তিতে একটা রূপরেখা তৈরি করি। সেটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য আপনারা একটা টিম করবেন।’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সহকারীর দায়িত্বে আসা ড. মো. সায়েদুর রহমান আহতদের দেশের সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, আপনাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করব। না পারলে তখন যা ইচ্ছা করবেন, কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে আপনাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।’

এরপর আহতরা হাসপাতালে ফিরতে রাজি হন। তখন উপদেষ্টারা তাদের নিয়ে হাসপাতালে ঢোকেন। রোগীদের হাসপাতালের শয্যায় পৌঁছে দিয়ে পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের দেখে রাত সোয়া ৪টার পর উপদেষ্টারা বাসার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

এর আগে পঙ্গু হাসপাতাল ও পাশের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বুধবার দুপুর ১টা থেকে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আহত ব্যক্তিরা। এই ব্যক্তিদের কারো এক পা নেই, কেউ হুইলচেয়ারে বসা, আবার কারো চোখে ব্যান্ডেজ রয়েছে। তারা একপর্যায়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। পরে হাসপাতালে ফিরে যেতে চার উপদেষ্টাকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার শর্ত দেন। তাদের শর্ত অনুযায়ী উপদেষ্টারা না যাওয়ায় রাত ১২টার পর হাসপাতাল থেকে বিছানাপত্র এনে সামনের ওই সড়কে অবস্থান চালিয়ে যান আহত ব্যক্তিরা।

এরপর রাত ৯টার দিকে প্রথম দফায় আহতদের সাথে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, তিন মাস পর আমার ভাইয়েরা এখনো রাস্তায় আছে, এটাই সবচেয়ে লজ্জার। এর সমাধান কিভাবে করা যায়, সেজন্য আমাকে একটু সময় দেন। যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এত দিনে আহতদের চিকিৎসায় টাকা দিতে পারে না, সেই ফাউন্ডেশন রাখার দরকার আছে বলে মনে হয় না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com