1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সেই জাহাজে এলো আলু-পেঁয়াজ ও শিল্পের কাঁচামাল সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী জাতীয় ফুটবল দলের পাহাড়ি কৃতি ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য উপদেষ্টা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল নিয়ে ডিআরইউ’র উদ্বেগ জনতার তোপের মুখে শেরপুরে হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন তত্ত্বাবধায়ক শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয় প্রতিবেশীদের স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী গলাচিপে আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি হাসিনার আমলে যারা নির্বাচন করেনি, তাদের নিয়ে সরকার গঠন করবে বিএনপি: বরকত উল্লাহ বুলু গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাজ্যের সমর্থন কুমিল্লায় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলেন তরুণরা

৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার হানাদার মুক্ত দিবস পালিত নিজ নিজ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের কথা আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮৩ বার দেখা হয়েছে

মামুনুর রশীদ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : আজ ৪ ডিসেম্বর দেবিদ্বার পাক হানাদার মুক্তদিবস পালিত হয়েছে। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্নাঢ্য র‌্যালী, মুক্তিযোদ্ধা চত্তর, বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল ও দেবিদ্বার বধ্যভূমি(গণকবর)রে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন, কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, পৌর মেয়র, দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ওমানী, পৌর মেয়র মো. সাইফুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, বিআরডিবি কর্মকর্তা রমেন সাহা, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার প্রমূখ।
আলোচকরা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দেবিদ্বার পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সলের রক্তে ঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় দেবীদ্বার এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। আলোচকগন বলেন, নিজ নিজ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের কথা আগামী প্রজন্মকে জানান দিতে হবে। তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম জাগাতে হবে। মুক্তি যুদ্ধের ঘটনা তুলে ধরতে যেয়ে আলোচকরা বলেন, মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওইদিন হানাদারদের বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা করা হয়। ৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী ‘কুমিল্লা-সিলেট’ আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি মাইন বিষ্ফোরনে উড়িয়ে দেয়া হয়। মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্ড ডিভিশনের মেজর জেনারেল আর.ডি হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। ওই দিন ভোর রাতে মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং ব্রাক্ষনপাড়া হয়ে দেবিদ্বারে আসে। হানাদাররা ওই রাতেই দেবিদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ দেবিদ্বার সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরটি দেবিদ্বার থেকে চান্দিনা রোডে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার সময় মোহনপুর এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গুলি বিনীময় হলে মিত্রবাহিনীর ৬সেনা সদস্য নিহত হয়। এই দিনে দেবিদ্বারের উল্লাসিত জনতা ও মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাসে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানে মেতে উঠে। দুপুর পর্যন্ত ওইদিন হাজার হাজার জনতা বিজয় উল্লাসে উপজেলা সদর প্রকম্পিত করে তোলে।
আলোচকরা বলেন, মুক্তি যুদ্ধে দেবিদ্বার বাসীর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, পালাটোনা ক্যাম্প প্রধান কিংবদন্তী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলী, সাবেক এমএনএ আব্দুল আজিজ খান, ন্যাপ-সিপিবি-ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক গঠিত ‘বিশেষ গেরিলাবাহিনী’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কমরেড আব্দুল হাফেজ, অন্যতম সংগঠক আজগর হোসেন মাষ্টার, ডাঃ আব্দুল আলীম, আছমত আলী সরকার, শহীদ নুরুল ইসলাম, শহীদ শাহজাহানসহ অসংখ্য কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধার অবদান ছিল স্মরনীয়।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সেনা ছাউনি কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট দেবিদ্বারের খুব কাছে থাকার কারনে এ এলাকার মানুষ অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। অপর দিকে ভারত সীমান্ত একই দুরত্বে থাকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল চট্রগ্রামের মিরশ^রাই উপজেলার পরে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে। রাজাকারদের সহযোগীতায় এ অঞ্চলে নারকীয় হত্যাজজ্ঞ, লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, অগ্নীসংযোগসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে এ এলাকার মানুষ। স্বাধীনতা সংগ্রামে হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের তান্ডবের ছোঁয়া লাগেনি এমন গ্রাম দেবিদ্বারে নেই।
পাক সেনাদের সাথে সম্মূখ সমর ও গণহত্যার তালিকাও কম নয়। ২৯ মার্চ যুদ্ধে ১৫ পাহসেনা নিহত ও ৩৩ বাঙ্গালী শহীদ। ২৪ এপ্রিল বরকামতা যুদ্ধে ৫ পাক সেনা ও ১৩ বাঙ্গালী শহীদ। ৬ সেপ্টেম্বর বারুর যুদ্ধে ৬ মুক্তি সেনা ও ২ নিরীহ বাঙ্গালী শহীদ। ১৭ সেপ্টেম্বর পোনরা যুদ্ধে নারায়নগঞ্জ নৌবন্দর ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নৌকমান্ডের ৮ সদস্যের সাথে পাকসেনাদের সাথে যুদ্ধে ২ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ। ১৬ অক্টোবর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাড়িয়াপুর যুদ্ধে ৭ পাক সেনা নিহত। ১৬ সেপ্টেম্বর ভূষণা ও ধামতী গনহত্যায় ১১ নিরীহ বাঙ্গালী শহীদ। ১৭ সেপ্টেম্বর মহেশপুর গণহত্যায় ১৪ নিরীহ বাঙ্গালী শহীদ। ললিতাসার গনহত্যা ৭ নিরীহ বাঙ্গালী শহীদ। জাফরগঞ্জ যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। ২৪জুন মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গণহত্যায় ২৪০ নিরীহ বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা ও ১৯ জনকে দেবিদ্বার সদরে ব্রাসফায়ারে হত্যাপূর্বক মাটি চাপা দেয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com