বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বর্তমান পরিচালক খোরশেদ আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঢাকা টাইমসনকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসালম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া ও উপজেলা নির্বাচন অফিস পটিয়ার সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মো. মোস্তফা ফারুক।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ছিলেন আসামি খোরশেদ আলম। তার দায়িত্ব পালনকালে একটি ল্যাপটপ মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে কাজ শেষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ল্যাপটপটি ফেরত দেন। কিন্তু ল্যাপটপ ফেরত পাওয়ার পর এটা আর জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা হয়নি।
এজহারে আরও বলা হয়, হারিয়ে যাওয়া ওই ল্যাপটপ একে অন্যের সহায়তায় নিজে অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে চট্টগ্রাম জেলার ভোটার তালিকা প্রণয়নে ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।
মূলত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) থাকাসংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম। ২০১৯ সালে ওই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। প্রতিবেদনে তিনি চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ল্যাপটপ গায়েব হওয়ার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।