বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাভারের বিভিন্ন টিকিট কাউন্টারে জমায়েত হতে শুরু করেছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। ঈদের ছুটি শুরু না হতেই তীব্র টিকিট সংকটে পড়েছেন শেকড়ের টানে গ্রামের পানে ছুটে চলা এসব মানুষগুলো।
তাদের দাবি কাউন্টারের লোকজন আগেই সব টিকেট বুক করে রেখেছেন। আর সেই টিকেট চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে সাভার বাস স্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুরের টিকেট কাউন্টারগুলো ঘুরে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের দাবি গাড়ির সব টিকিট কাউন্টার থেকে বুক করা হয়েছে আগেই। তবে চড়া মুল্য দিলে সেই গাড়িতেই মিলছে টিকিট।
গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) তানিয়া আক্তার আসেন আশুলিয়ার বাইপাইল টিকিট কাউন্টারে। কিন্তু গতকাল সব টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান কাউন্টার মাস্টাররা। টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন, আমি গতকাল টিকিট না পেয়ে বাসায় ফিরে যাই। তবে যাওয়ার আগে কাউন্টার মাস্টারকে বলে আসি আজ (বুধবার) দুইটা টিকিট ম্যানেজ করে দিতে।
তিনি রাতে ফোন দিয়ে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় শ্যামলী গাড়ির দুইটি টিকিট পাওয়া গেছে। তবে প্রতি টিকিট ৬০০ টাকার জায়গায় দিতে হবে ৯০০ টাকা। এর নিচে টিকিট পাওয়া যাবে না।
পরে বাধ্য হয়ে রাতেই ১৮০০ টাকা দিই। আজ ১২টার দিকে গাড়ি এসেছে। আমরা এখন বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেছি।
অপর যাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, আমি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য নবীনগর টিকিট কাউন্টারে যাই। সেখানে কোনো কাউন্টারে টিকিট নেই। অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পেলাম না।
অবশেষে বাধ্য হয়ে লোকাল গড়িতে করে ভেঙে ভেঙে ফরিদপুরে রওনা হয়েছি। প্রথমে ঘাটে লোকাল গাড়িতে যাব। এরপর ঘাট পার হয়ে অন্য গাড়িতে ফরিদপুর যাব। টিকিট না থাকলে তো কষ্ট করতেই হবে।
এ ব্যাপারে বাইপাইল শ্যামলী কাউন্টারের কাউন্টার স্টাফ পরিচয় দিয়ে ময়নুল বলেন, সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। কোনো টিকিট নাই। আমরা ঢাকা থেকে দুই-একটি টিকিট সংগ্রহ করে বিক্রি করছি।
আমরা নিজেরাই বেশি দামে টিকিট কিনে দুই-একজন যাত্রীর সুবিধার জন্য ব্যবস্থা করেছি। যাত্রীদের উপকার করলে যদি দোষের হয় তাহলে আর উপকার করব না।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে আপনার (এই প্রতিবোদকের) কাছে জানলাম। আমি এখনই টিম পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাছাড়া আমরা কাউন্টারগুলোতে যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে এ জন্য আজ থেকেই সাদা পোশাকে হাইওয়ে পুলিশ নজরদারির শুরু করবে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত গাড়ির চাপ হলেও যান চলাচল স্বাভাবিক, শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও কোরবানির পশুবাহী যান নির্বিঘ্নে চলাচল ও পশু ব্যবসায়ীদের টাকা পয়সা নিরাপদে লেন-দেনের স্বার্থে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে শুরু হয়ে ঈদের পরের ৩ দিনও সড়কে এই পুলিশ কাজ করে যাবে। বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত ২টি টহল টিমের বাইরেও অতিরিক্ত দুটি মোটরসাইকেল টহল টিমসহ ৪টি টহল টিম টহলরত থাকবে।
জরুরি মুহূর্তে তারা রেসপন্স করবে। এ ছাড়া-৯৯৯ এ- ফোন করলেই আমাদের যেকোনো সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।