ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ আপনারা বাঁচিয়ে রেখেছেন। আপনাদের পরিশ্রমে, আপনাদের কষ্টে আমরা শার্ট-প্যান্ট পরি, গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ি। আমরা আপনাদের শিশুদের সুস্থতা চাই।’ শ্রমজীবী মানুষের জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে বিশেষ গণস্বাস্থ্য বীমা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। বলেন, ‘সাত টাকা খরচ করে আপনাদের সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘আপনাদের কারও যদি অসুখ হয় তাহলে পুরো মাসের সঞ্চয় শেষ হয় যায়। সে জন্য আমরা স্বাস্থ্য বীমা করেছি। মাসে ২০০ টাকা, অর্থাৎ দিনে সাত টাকা। এই টাকা দিয়ে ডাক্তারের চিকিৎসা পাবেন, অস্থায়ী ওষুধ পাবেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে পয়সা (টাকা) লাগবে না। আপনাদের সন্তানদের সুন্নতে খতনা করাতে টাকা লাগবে না। গর্ভবতী মায়েদের টাকা ছাড়াই প্রসব করিয়ে দেব। আপনাদের পান খাওয়া বন্ধ করতে হবে। বিড়ি-সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই টাকা দিয়ে আপনার সন্তানদের পড়াশোনা করাবেন।’
এ সময় শ্রমজীবী মানুষের সন্তানরা প্রাইমারি স্কুল ও কলেজের লেখাপড়া শেষ করলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প খরচে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেবেন বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ ৫০০ পরিবারের মধ্যে মা ও শিশুদের বিশেষ পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালক ডা. বদরুল হক, সমন্বয়কারী স্থানীয় সমাজসেবক মোজাম্মেল হক মাস্টার প্রমুখ।