বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নয়, শরিয়া আইনে চলবে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র সংগঠনটির একজন ঊর্ধ্বতন সদস্য। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি নামের ওই নেতা বলেন, এখানে কোনো রকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকবে না। কারণ আমাদের দেশে এর কোনো ভিত্তি নেই। তালেবানের সিদ্ধান্ত প্রণয়নকারী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে হাশিমির।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে কী ধরনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা থাকবে এ নিয়ে আমরা আলোচনা করব না। কারণ এটা পরিষ্কার। আফগানিস্তান চলবে শরিয়া আইনে। সেটাই শেষ কথা। এই নেতা আরো বলেন, তালেবোনের সুপ্রিম নেতা হিবাতুল্লাহ আকুন্দজাদার নেতৃত্বে গঠিত শাসক পরিষদের মাধ্যমে আফগানিস্তান পরিচালিত হবে।
ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, বিভিন্ন পদে আমাদের মন্ত্রীরা নিযুক্ত থাকবেন। আর শাসক পরিষদের মাধ্যমেই এসব মন্ত্রীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক কোনো নীতিমালা থাকবে না।
হাশিমির পক্ষ থেকে এ ধরনের মন্তব্য এলেও এখনো পর্যন্ত তালেবান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সরকার গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেয়নি।
গত রোববার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তারপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, দেশটিতে পরবর্তীতে কী ঘটতে যাচ্ছে? সাধারণ মানুষের মধ্যেও কিছুটা উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশটির পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এমনকি তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও মেয়েদের স্কুলে যেতে দেখা গেছে, টিভি চ্যানেলে নারীদের সংবাদ উপস্থাপনা করতেও দেখা গেছে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবরও সেখানে পাওয়া যায়নি। এমনকি তালেবানের নেতাদের পক্ষ থেকে তাদের যোদ্ধাদের কোনো ধরনের সহিংসতা না করার এবং লোকজনের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ না করার আহ্বান জানানো হয়।
নারীসহ অন্যান্য লোকজনকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা এমনকি তালেবান সরকারে নারীদের অংশ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। তবে নারীদের অবশ্যই হিজাব পরেই সব কাজে অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়।