পরীমনির বিষয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারই সহকর্মী জিয়াউল রোশান। লিখেছেন, ‘পরী অনেক ছোট বেলায় মা-বাবা হারিয়েছে। ওরা থাকলে হইতো মেয়েটির জীবন অন্যরকম হতো, আজকের এই দিনগুলোর মতো হতো না। ছোটখাটো ভুলের বাইরেও তো তার অনেক ভালো গুণ রয়েছে। জনপ্রিয় নায়িকা হওয়া ছাড়াও বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে বারংবার। শাস্তি আর না দিয়ে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিলে তার জীবনটা আরো সুন্দর হতে পারে। পরীর পারসোনাল লাইফ নিয়ে তেমন কিছু না জানলেও এটা জানি যে, তার শত বছর বয়সী নানা তার জীবনে সব থেকে বড় আপনজন। যাকে সে তার বেঁচে থাকার বড় অবলম্বন মনে করে।’
পরীমনির অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘সে Vartigo নামের একটি রোগে আক্রান্ত, যেটির নাম আমি আগে কখনো শুনিনি। তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ সিনেমা ‘মুখোশ’-এ কাজের সময় বারিংবার দেখেছি তার সাডেনলি অসুস্থ হয়ে যাওয়া, যেটি আমাকে অনেক বেশি ব্যথিত করেছে। দুটি সিনেমায় তাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। সেই সুবাদে যতটা দেখেছি পরী একজন মেধাবী অভিনেত্রী, মিশুক, পরোপকারী।’
সিনেমার স্বার্থে পরীমনিকে প্রয়োজন উল্লেখ করে রোশান লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি তার মুক্তি চাই, সিনেমার স্বার্থে তাকে আমাদের আবারও প্রয়োজন। আমাদের অভিনেত্রী পরী আবারও আগের মতো কাজ করুক। যথেষ্ট হয়েছে আর কেউ তাকে নিয়ে বাজে কিছু বলবেন না। দিন শেষে এটাই সত্যি যে, সে একজন বাবা-মা হারা এতিম মেয়ে। আল্লাহ্র কাছে কে কোন উসিলায় ক্ষমা পাবে, সে আল্লাহ্ই নির্ধারণ করবেন।’