বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিনের পর চিত্রনায়িকা পরীমনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ১৯ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি মুক্তি পেলেন।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এ সময় কারাফটকে গণমাধ্যম ও শত শত স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে। একটি সাদা হুটখোলা গাড়িতে করে পরীমনিকে কারাগার থেকে আনতে যান তাঁর আইনজীবী ও স্বজনরা।
মুক্তির পর খুবই হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল চিত্রনায়িকাকে। তাঁর মাথায় সাদা ওড়না পেচানো আর চোখে ছিল রোদচশমা। এ সময় পরীমনি গাড়িতে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। হাত নাড়ানোর সময়ই দেখা যায় পরীমনির হাতে মেহেদী দেওয়া। তখন তার হাতে লেখা ছিল, ‘Dont love (প্রতীকী চিহ্ন) me Bitch’ লেখা ছিল। তবে এ লেখার উদ্দেশ্য কি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পরীমনি শুধু বলেন, ‘থ্যাংক ইউ, ধন্যবাদ।‘
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিন আদেশ দেন। তিন কারণ বিবেচনায় পরীমণিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পরীমনি একজন চিত্রনায়িকা এবং একজন নারী। তাছাড়া সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রীতিলতা নামক একটি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের শিডিউল চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন আদালত।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এই মামলায় তিন দফায় রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। পরে আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করার আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে গত বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। পরদিন বৃহস্পতিবার পরীমনির নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত জামিন শুনানির যে দিন নির্ধারণ করেছিলেন, তা কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।