ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে অপহরণের জাফনাথ সাঈদা জবা নামে এক শিশুকে ১০ ঘণ্টা পর রাজধানীর মহাখালী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী কাজের মেয়ে শারমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার রাত দেড়টার দিকে শিশু জবাকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে পুলিশ। এর আগে, ওইদিন বিকেল ৩টার দিকেল তাকে অপহরণ করে পালিয়ে যায় কাজের মেয়ে শারমিন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন শিশু জবার বাবা জহিরুল ইসলাম। সোমবার সকালে অপহরণকারী শারমিনকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, জবার মা উম্মে সালমা ৩৪তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে কর্মরত। বাবা মো. জহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ আদালতের আইনজীবী। দুজনই কর্মজীবী হওয়ায় জবাকে দেখাশোনার জন্য ২৫ দিন আগে লালমনিরহাট থেকে শারমিন নামে ওই মেয়েকে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়ার বাসায় নিয়ে আসেন। রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কাজের মেয়ে শারমিন কৌশলে জবাকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মেয়েকে দীর্ঘক্ষণ দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় মা উম্মে সালমার। তিনি বিষয়টি স্বামীকে জানান। তারা অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্তানকে না পেয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযানে নামে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর অপহরণকারীর শারমিনের মাকে রূপগঞ্জের তারাবো বিশ্বরোড এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করে পুলিশ। তার মায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর তেজগাঁও সাততলা বস্তি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে না পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে শিশু জবাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী শারমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, অপহরণকারী শারমিন মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক নিয়মিত সেবন করছিল। এছাড়া সে দেহব্যবসা ও মানবপাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত। অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই শিশু জবাকে অপহরণ করেছে শারমিন।
সোনারাগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশের একটি টিম অভিযান শুরু করে। প্রায় ১০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে করা হয়েছে।