বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় মিরাজ নামের এক যুবকের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় মিরাজকে ঢাকায় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। মিরাজ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লকডাউনের ছুটিতে অসুস্থ একমাত্র ছেলে আলিফকে (৭) দেখতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বাউফলের দাসপাড়ায় আসেন মিরাজ। এ সময় স্ত্রী নুপুর আক্তার সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মিরাজ মোবাইলে সন্তান নিয়ে স্ত্রীকে তার বাড়িতে আসার জন্য বলেন।
বিনিময়ে স্ত্রী তার অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার বায়না করেন। স্ত্রী তার স্বামীর বাড়িতে না আসায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিরাজ তার শ্বশুরবাড়ি যান। তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দরজা খুলে ঘরের ভেতর ঢুকে খাটের উপর স্ত্রী ও তার প্রেমিক হাবিবকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
এ সময় মিরাজকে স্ত্রী নুপুর ও তার প্রেমিক হাবিব ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারধর করে। একপর্যায়ে মিরাজের ডান চোখ উপড়ে ফেলে তারা। মিরাজের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হাবিব পালিয়ে যায়। পরে মিরাজকে দ্রুত উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, মিরাজের ডান চোখের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
মিরাজের বোন খাদিজা বেগম বলেন, আমার ভাইকে সবাই মিলে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। নুপুর আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।
মিরাজের শ্বশুর সোহরাব হোসেন বলেন, জামাইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মেয়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন বলেন, মিরাজের বোন হ্যাপি বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।