বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ পেতে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান মো. হাফিজুর রহমানকে।
সদস্য সচিব হিসাবে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী। বাকি ১৪ জনকে কারিগরি কমিটির সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
কমিটিতে আহ্বায়কের বাইরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান হলো- তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ, সাইবার ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স শাখা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, এটুআই ও বেসিস এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০২০ (সর্বশেষ, সংশোধিত) এর পরিশিষ্ট-১ এর উল্লিখিত কর্মপরিকল্পনার নির্দেশনা অনুযায়ী, ডিজিটাল কমার্স সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তথা ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটন, লেনদেন সৃষ্ট ভোক্তা বা বিক্রেতা অসন্তোষ, প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে নিম্ন লিখিত সদস্যের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হলো।
‘গঠিত কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সময়ে সময়ে কারিগরি বিষয়ে পরামর্শ দেবে। প্রতি মাসে একবার বা যখন প্রয়োজন হয় তখনই কমিটি সভা আহ্বান করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে অনলাইন কেনাকাটায় বিকাশ হলেও এ ক্ষেত্রে সরকারি নজরদারি না থাকায় গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি করা ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানের ২ প্রধানকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, যিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্য। ধামাকা নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ২০০ কোটি টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার আগেই তারা আত্মগোপনে আছেন।
অনলাইন কেনাকাটা নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, স্বয়ং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজেও অনলাইনে গরু কিনে প্রতারিত হয়েছেন।