জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে তজুমদ্দিনে মেঘনার তীরবর্তী শশীগঞ্জ স্লুইসগেট এলাকার জেলে আলমগীর মাঝির জালে ছোট ও মাঝারি আকারের পাঁচটি ইলিশের সঙ্গে ধরা পড়ে এই বড় ইলিশও। বিকেলে স্লুইসগেট এলাকার মাছঘাটে ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের আড়তে মাছটি নিলামে তুললে ব্যবসায়ী কুট্টি ব্যাপারী ৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। বাকি পাঁচটি ইলিশও ৩ হাজার টাকায় কিনে নেন তিনি।
কুট্টি ব্যাপারী বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে বড় মাছের দেখা মেলেনি। সপ্তাহখানেক হলো বড় ইলিশের দেখা মিলেছে। কয়েকদিনের মধ্যে এটাই ঘাটে আসা সবচেয়ে বড় ইলিশ। মাছটি বেশি দামে ঢাকায় বিক্রির জন্য অন্য মোকামে পাঠিয়েছি।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন মিয়া জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। সাগরের নোনাপানি থেকে ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্যে নদীর মিঠাপানিতে বড় ইলিশ আসতে শুরু করেছে। এ কারণে জেলেরা বড় ইলিশ পাচ্ছে। ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হলে এরচেয়েও বড় ইলিশ মিলবে।
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ভোলা সদর উপজেলায় মেঘনা নদীতে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ধরা পড়েছিল। পরদিন সকালে ধনিয়া তুলাতুলি মাছঘাটে নান্নু চেয়ারম্যানের আড়তে মাছটি নিলামে তোলা হলে সেটি ৪ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।