এনসিবির আইনজীবীরা দাবি করেন, আরিয়ানের ফোন থেকে প্রামাণ্য নথি পাওয়া গেছে। যে কারণে তদন্তের স্বার্থে তাদের হেফাজতে আরিয়ানকে রাখা প্রয়োজন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রমোদতরীর পার্টি থেকে শনিবার আটকের পর সোজা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দফতরে নিয়ে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে টানা ১৬ ঘণ্টা জেরা করা হয়।
সোমবার আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
ছেলের পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে মুম্বাইয়ের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ দিয়েছেন শাহরুখ খান।
আরিয়ানকে সোমবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পরেই তার হয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে।
গ্রেফতারের পর বলা হয়েছিল, এক দিনের জন্য আরিয়ানকে এনসিবির হেফাজতে রাখা হবে। কিন্তু সোমবার সকালে জানা যায়, আদালতের কাছে শাহরুখপুত্রকে আরও কয়েক দিন হেফাজতে রাখার অনুমতি চাইতে পারে এনসিবি।
কারণ হিসেবে বলা হয়, মুম্বাইয়ের মাদকযোগের তদন্তে কিছু তথ্যের জন্য আরিয়ানকে আরও কিছু দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে হবে। সেই মতো এনসিবি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে নিজেদের হেফাজতে রাখবে।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) সূত্র জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে গোয়াগামী এক প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালান এনসিবি কর্মকর্তারা। পার্টিতে জামাকাপড়ের সেলাই, মেয়েদের ব্যাগের হাতলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক। আরিয়ান মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন লেন্স রাখার বক্সে। এরপর আরিয়ানসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের নাম মুনমুন ধমেচা ও আরবাজ শেঠ মার্চান্ট।