বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ইন্টারনেট বা অ্যাপ থেকে অন্য ব্যাংকের হিসাবে টাকা পাঠাতে গ্রাহককে মাশুল দিতে হয় না। তবে সেটি আর থাকছে না। এখন থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠাতে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা মাশুল দিতে হবে গ্রাহকদের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এই নির্দেশনা দিয়েছে। একই সাথে এটিএম ও পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) থেকে অর্থ উত্তোলনসহ কয়েকটি মাশুল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নির্দেশনা আগে থেকে বহাল আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের (এনপিএসবি) আওতায় ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ব্যাংকের গ্রাহকের অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। যা অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।
পিওএস ব্যবহার করে নগদ টাকা উত্তোলন করা হলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা মাশুল দিতে হবে গ্রাহককে। এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) ব্যবহার করে মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট হতে মোট লেনদেনের অন্যূন ১.৬ শতাংশ এমডিআর বাবদ আদায় করবে। যার মধ্য হতে আইআরএফ বাবদ ১.১ শতাংশ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে।
এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ২০ টাকা, স্থিতি দেখার জন্য ৫ টাকা, খুদে হিসাব বিবরণীর জন্য ৫ টাকা, টাকা স্থানান্তরের জন্য ১০ টাকা ও নগদ টাকা জমার জন্য ২০ টাকা মাশুল নিতে পারবে। এই মাশুল কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক এটিএম সেবা দেওয়া ব্যাংককে প্রদান করবে। তবে এ ক্ষেত্রে এটিএম থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনে গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা নেওয়া যাবে, বাকি ৫ টাকা ব্যাংককে ভর্তুকি দিতে হবে।
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ডের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করবে, যার মধ্যে ৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে এ জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের প্রচলিত ফি/চার্জ প্রযোজ্য হবে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।