মোটেক্স-বিম সখিপুর সুপার লীগে সখিপুর থানার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২০টি দল অংশগ্রহন করেন। ২০টি দলকে ৫ দলের গ্রুপ করে খেলানো হয়। সব রাউন্ডে ভালো খেলে ফাইনালে উঠে সখিপুর ফুটবল একাদশ এবং ডিএম খালী ফুবটল একাদশ। ফাইনাল ম্যাচে সখিপুর ফুটবল একাদশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ডিএম খালী ফুটবল একাদশ। সখিপুর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত করে ডিএম খালী ফুটবল একাদশ। টাইব্রেকারে ২-৩ গোলের ব্যবধানে শিরোপার মুকুট পরে ডিএম খালী ফুটবল একাদশ।
ফাইনাল ম্যাচে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, নিঃসন্দেহে সখিপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের একটি ভালো উদ্যোগে। খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকলে মানুষ নেশা থেকে দূরে থাকে। দীর্ঘদিন মহামারী করোনার জন্য সকল প্রকার খেলাধুলা বন্ধ ছিলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন সবকিছু স্বাভাবিক হতে চলেছে। তিনি বলেন, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাঙালি ছেলে-মেয়েরা কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যারা জয়ী হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন। তবে যারা জয়ী হতে পারেননি তাদেরও নিরাশ হওয়ার কিছু নাই। চেষ্টা চালিয়ে গেলে একদিন বিজয় অর্জন সম্ভব হবে। এজন্য বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রতিটি স্কুলের খেলার মাঠের উন্নয়নের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সব বদ-অভ্যাস ও মোবাইলের খারাপ আশক্তি হওয়া থেকে দূরে থাকুন। শিগগিরই সখিপুরে একটি খেলার স্টেডিয়াম করা হবে বলেও তিনি জানান।
এই আয়োজনটি সফল করতে সাহায্য করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তা সদস্যবৃন্দ, বেশি-বিদেশী সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসাহ, উদ্দীপনা ও নেশামুক্ত প্রাণবন্ত জীবনের মাইলফলক হিসেবে এমন টুর্নামেন্ট সবসময় চলমান থাকবে বলে জানান আয়োজক কমিটি।